ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ , ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শরীরের জন্য প্রোটিন জরুরি, ডিম, মাংস, না পনির কোন খাবারের প্রোটিন শরীর জন্য বেশি ভাল? পুতিনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক সংঘাতের রাস্তায় নামল পোল্যান্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির তৃণমূলে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ রাতে কাটলেন ধান দিনে কাটছেন খর রাণীশংকৈলে জমি দখলের অভিনব কৌশল রাণীনগরে গ্রামীণ ব্যাংকের গেটের সামনে আগুন প্রথম বিয়ে গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে: নারীর কারাদণ্ড, কাজির জেল ও লাইসেন্স বাতিল শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা জাল সনদে চাকরি ও প্রতারণার দায়ে প্রধান শিক্ষককে কারাদণ্ড সখীপুরে মেয়েকে হত্যার পর মায়ের আত্মহনন প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিপুল ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ সাপাহারে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা এড়াতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান রাণীনগরে চোলায় মদসহ মাদক কারবারি আটক -২ কেশরহাট পৌরসভায় কমিউনিটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রশিক্ষণ নগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৭ রাজশাহীতে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আ’লীগ ও কৃষকলীগ নেতা গ্রেফতার রাজশাহী সিটি কলেজে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন রাজশাহী সিটি কলেজে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন রাজশাহী সিটি কলেজে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন পুঠিয়ায় বিপুল পরিমান ট্যাপেন্টাডল-সহ মাদক কারবারী মাহিন গ্রেফতার

রাজশাহী অঞ্চলে নিষিদ্ধ কীটনাশকে বাজার সয়লাব

  • আপলোড সময় : ৩১-০৭-২০২৫ ০১:৫২:৫৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-০৭-২০২৫ ০১:৫২:৫৯ অপরাহ্ন
রাজশাহী অঞ্চলে নিষিদ্ধ কীটনাশকে বাজার সয়লাব রাজশাহী অঞ্চলে নিষিদ্ধ কীটনাশকে বাজার সয়লাব
রাজশাহী অঞ্চলে নিষিদ্ধ কীটনাশকে বাজার সয়লাব হয়ে উঠেছে। কীটনাশক আসল-নকল,ভেজাল না নিম্নমানের সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই অধিকাং কৃষকের। আর কৃষকদের এই সরলতার সুযোগ নিচ্ছেন একশ্রেণির মুনাফাখোর অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ী। অন্যদিকে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের একশ্রেণীর কর্মকর্তা কোম্পানির কাছে থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে এসব কীটনাশক কিনতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। 

এদিকে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারসিক) এর গবেষণায় উঠে এসেছে রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ কীট ও বালাইনাশক। সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব ব্যবহারের ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়েছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই জানেন না এটি নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক কীটনাশক। চলতি বছরেই রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক। 

চলতি বছরের ৩০ জুলাই রাজশাহী নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর ৮টি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষাটি তৈরী করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই দেশে নিষিদ্ধ হওয়া কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামে। এসব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, কিন্তু বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে।

বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ বা যেসব কীটনাশক এখনও পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান ৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান) ইঁদুর মারা বিষ (বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এই প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে না বুঝে এগুলো আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়ে মারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, যেটি দেখার জন্য সরকারের কোন তদারকি নেই। এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশকও আনা হয়। এগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে তার রশিদও দেখানো হয়।

এসব দেখিয়ে বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, ‘এগুলো তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কিনেছি। রশিদও আছে। কিন্তু এগুলো নিষিদ্ধ। অথচ আমরা এগুলো হাজির করতে বাধ্য হয়েছি। এই গবেষণা একটি ফৌজদারি অপরাধকে খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু সে বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, সেটাই বড় প্রশ্ন। সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা, কীটনাশক আইন ও বিধির প্রয়োগ করা, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন কর, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
নগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৭

নগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৭